চোদ্দো চাকার লরিটাকে বিদ্যুৎগতিতে ওভারটেক করতে যাচ্ছিল লোকটা। চৌত্রিশ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর রোদের তাপে পিচ গলছে। লরিটার উল্টো দিকে, বেশ খানিকটা সামনে জিকোর বাইকের স্পিড এখন অন্তত নব্বই। যখন লরিটা, লোকটার বাইক আর জিকোর বাইক সম্পূর্ণ সমান্তরালে এল, জিকো ডান পায়ের ভারী বুটটা আলতো করে স্পর্শ করল লোকটার বাইকের মাঝখান। তার পর এক আকাশকাঁপানো আর্তনাদ। জিকো লুকিং গ্লাসে দেখল, লোকটার বাইকটা ছিটকে গেল দূরে, আর গোটা শরীরটা মুহূর্তের মধ্যে দলা পাকিয়ে গেল লরির দানবীয় চাকাগুলোর নীচে। নিশ্চিন্ত মনে বাইকের গতি বাড়িয়ে দিল জিকো। অপারেশন সফল। গত পরশুই বরাতটা পেয়েছিল জিকো। কাজ শেষ করতে বেশি সময় লাগল না বলে ওর সারা মুখে তৃপ্তির হাসি।
কিছু দূর আসতেই বুকপকেটে মোবাইলটা বেজে উঠল। বুলুদা কলিং। বাইকের গতি খানিক কমিয়ে ফোনটা কানে চেপে জিকো শুনল বুলুদার গনগনে গলা, “চটকা দে, চটকা। ওই টেঁটিয়া মাস্টারটাকে তিন বিঘে চটকা দে।”
বাঁ দিকের কানটা গরম হয়ে যাওয়ায়, মোবাইলটা ডান কানে চেপে ধরে জিকো বলল, “তিন বিঘে বেশি হয়ে গেল না বুলুদা! তিন সের দিলে হয় না? ভেবে দেখো। ”
আগের ঘটনা এখন অতীত। এখন আবার নতুন কেসের খবর। আগেরটা থেকে মনটাকে সম্পূর্ণ সরিয়ে বাইকটাকে রাস্তার ধারের একটা জঞ্জাল ফেলার জায়গার কাছে দাঁড় করাল জিকো। এখানে কাগজ, ন্যাকড়া, ন্যাপকিন,
পচা-গলা খাবারের দলা-পাকানো স্তূপ থেকে কেমন যেন একটা আঁশটে গন্ধ বেরচ্ছে। এখানে লোকে সাধারণত পেচ্ছাপ করতে আসে, অন্যান্য ঝমেলা কম। তাই অপারেশনের কথা এ রকম জায়গায় বলাই সুবিধে।
সকাল থেকেই বুলুদা হেবি জ্বালাচ্ছে জিকোকে। মটকা গরম করে দিচ্ছে একেবারে! জিকো একটু রিস্কি কাজগুলোই ভালবাসে। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা ওর পছন্দ নয়।
টাটকা দেশি-বিদেশি পাঙ্গা নেওয়া মালকে ইনসুইং, আউটসুইং করাতে পারলে জিকো তৃপ্তি পায়। অন্যদের তুলনায় জিকোর রেট হাই। ও কাজে সফল হলে টাকা। তিন পাত্তি। মানে পাঁচ লাখ। বেশিও নয়, কমও নয়। টাকার রফাটা নিয়েই ঝামেলা পাকাচ্ছে বুলুদা।
এ সব লাইনে কথাবার্তা কোডেই হয়। তিন বিঘে মানে ছ’টা গুলি। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ। চারটে সরাসরি বুকে, আর দুটো গুলি খুলি ফুঁড়ে দেবে। আর তিন সের হল একটু কম ডোজ়। দু’টো গুলি। তিনশো মিটার দূর থেকে। হৃৎপিণ্ড লক্ষ্য করে। মিসফায়ার হলে কোম্পানি দায়ী নয়। তবে জিকোর ডিকশনারিতে মিসফায়ার শব্দটা নেই।
ফোনের ও পার থেকে বুলুদা বলল, “তিন সের! তিন সের দিলে মাস্টারটা মরবে, তার কী গ্যারান্টি? শালা আমাদের জিনা হারাম করে দিচ্ছে। তুই তিন বিঘেই লাগা। আমি তোকে ফুল পেমেন্ট দিচ্ছি।”
“ওকে বস,” বলে ফোন কেটে দিল জিকো। হাতঘড়িতে এখন বারোটা কুড়ি। গামলার মতো ওল্টানো সূর্য মাঝ-আকাশ থেকে আগুনের ফুলঝুরি ছড়িয়ে দিচ্ছে পৃথিবীতে। দিন-দিন উষ্ণতা বাড়ছে পৃথিবীর।
মাথায় ডান হাতটা চালিয়ে চুল ঠিক করে বাইকে স্টার্ট দিল জিকো।
জিকো এই এলাকার ভয়ঙ্কর সুপারি কিলার। মানুষ খুন ছাড়া কোনও কাজ ওর অভিধানে নেই। তোলা আদায়, বোমাবাজি,
লোককে চমকানো-ধমকানোর কাজে জিকো ছুঁচো মেরে হাত গন্ধ করেনি কোনও দিন। পৃথিবী থেকে কাউকে বিনা নোটিশে উৎখাত করার দরকার হলে জিকোর ডাক পড়ে।
আজকে সকালে বুলুদা ফোনে বলল কেসটা। লোকটার নাম নীলকান্ত মণ্ডল। এই শহরের
পাশের কোনও গ্রামের প্রাইমারি স্কুলমাস্টার। নিলুমাস্টার নামেই বেশি পরিচিত। বয়স পঁয়তিরিশ। নিজের বলতে শুধু বছরখানেকের একটা বাচ্চা। ছেলে। বৌ ছিল। ছেলেটা হতে গিয়ে মারা গেছে। একটা
পনেরো কাঠা জায়গা আছে মাস্টারের। স্টেশনের ঠিক পাশেই। প্রায় দু’কোটি টাকার জিনিস। এক কোটি কুড়িতে কিনতে চেয়েছিল বুলুদা। মাস্টার রাজি হয়নি। তা
ছাড়া এলাকায় মদের ভাটি ভাঙা, হোটেলের মধুচক্রের আসরে পুলিশকে রেড করাতে বাধ্য করা— হাজার রকম ড্রামাবাজি প্রায় রোজই চালিয়ে যাচ্ছে নিলুমাস্টার। বুলুদার চোলাই মদের দোকানটা থেকে হাজার-হাজার টাকা আয় হত। নিলুমাস্টারের সেটা সহ্য
হল না। আবগারি দপ্তরে চিঠি
লিখে জানিয়ে দিল সব কিছু। মাস্টার নাকি এলাকাকে স্বচ্ছ করছে। মিশন নির্মল বাংলা।
এই এলাকায় কাঁচা পয়সা ফড়িংয়ের মতো ফরফর করে ওড়ে। ধরতে জানতে হয়। বালি মাফিয়ার রমরমা এখানে। রাতের অন্ধকারে লরি-লরি বালি পাচার করে লালে লাল হয়ে যাচ্ছে বুলুদা, শ্যামনাথবাবু, ভুটান মিত্তিররা। সেখানে লাইনে উটকো নিলুমাস্টার ঢুকে গেলে বুলুদাদের তো জ্বলবেই!
জিকো থার্ড গিয়ার থেকে নিউট্রালে নিয়ে এসে বাইক দাঁড় করাল মাস্টারের বাড়ির সামনে। ছোটখাটো একতলা বাড়ি। দরজা
বন্ধ। কোনও কাজের বরাত পেলে জিকো তার সম্বন্ধে খুঁটিনাটি সব জেনেই টার্গেটের দিকে এগোয়। ও যা করে, বাই হার্ট। কে যেন এক বার বলেছিল, জিকোর নাকি হার্টই নেই! হৃদয়হীন মানুষ।
মনে-মনে একটু হাসল জিকো। তার পর ডোরবেলে চাপ দিল। এক বয়স্কা ভদ্রমহিলা দরজা খুললেন।
জিকো নমস্কার জানিয়ে বলল, “আমি অরুণোদয় সেন। একটা প্রাইভেট ব্যাঙ্কের পিআরও।
স্যর ফোন করেছিলেন আমাদের। কোম্পানি আমাকে পাঠিয়েছে।
স্যর আছেন?”
ভদ্রমহিলা জিকোকে ভাল করে দেখলেন। অবিশ্বাস করার মতো কিছু খুঁজে পেলেন না।
এটাও জিকোর অ্যাডভান্টেজ। পাঁচ ফুট আট ইঞ্চির পেটানো চেহারায় রং যেন ফেটে বেরচ্ছে। হালকা গোলাপি আভা ওর সারা মুখে। চোখের মণি হালকা নীল। ডিপ কালারের ফুলস্লিভে ওকে বিদেশিদের মতো দেখায়।
“উনি তো এখন স্কুলে। ওঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলে সন্ধেবেলায় আসতে হবে।”
জিকো জানে, মাস্টার এখন থাকবে না। তাই তো এই সময় আসা। লোকমুখে খোঁজখবর নেওয়ার চেয়ে সরাসরি খোঁজখবর নেওয়াতেই জিকোর সুবিধে।
“কোন স্কুলে শিক্ষকতা করেন যেন স্যর?” বাড়ির চারপাশটা দেখতে-দেখতে প্রশ্ন করে জিকো।
“তালডাঙা প্রাইমারি স্কুল। এখান থেকে আট-দশ কিলোমিটার।”
“ও, তালডাঙা। চিনি। স্যর বাইক নিয়েই যাতায়াত করেন?”
“হ্যাঁ। দশটা নাগাদ বেরোন বাড়ি থেকে,” ভদ্রমহিলা জানালেন।
“আপনি তা হলে…” কিছু বলতে যাচ্ছিল জিকো। ওকে থামিয়ে দিয়ে ভদ্রমহিলা বলল, “আমি গীতাদি। পুচকুকে দেখাশোনা করার জন্য আমাকে রাখা হয়েছে। আর কথা বলার সময় নেই আমার। পুচকুকে খাওয়ানোর সময় হয়েছে।”
“হ্যাঁ। নিশ্চয়ই। স্যরি। এখন আসছি। পরে আসব,” কথাটা বলে জিকো দ্রুত বেরিয়ে এল। এটুকুই যথেষ্ট আপাতত। পরে শিকার সম্বন্ধে আরও বিস্তারিত জানতে হবে।
জিকোর আলমারির লকারে যত্ন করে রাখা আছে একটা নাইন এমএম, একটা কার্বাইন মেশিনগান আর একটা এসএলআর। কার্বাইন মেশিনগানকে আমপাবলিক বলে পাইপগান। কার্বাইন মেশিনগানটা জিকোর খুব পছন্দের। তিরিশটা
গুলি লোড করা যায় ওতে। ভেবে নিজের মনেই হাসল জিকো। ওর অব্যর্থ নিশানায় এখনও পর্যন্ত একাধিক গুলি খরচ করতে হয়নি। সেখানে তিরিশটা গুলি মানে তো সমুদ্রের জল!
কিছু দিন যাবৎ একটা স্যাঙাত জুটেছে জিকোর। বুম্বা। ছেলেটা জিকোর খুব বাধ্য। জিকোর বিদ্যে মন দিয়ে শেখে। এর আগে জিকোর হয়ে ও চার জনকে শুট করেছে। অভ্রান্ত নিশানা। জিকোর মতোই। শুধু শেখার আগ্রহ নয়, বুম্বা জিকোর জন্যে প্রাণ দিতেও এক সেকেন্ড ভাববে না। তাই জিকো ওকে খুব পছন্দ করে। এত ক্ষণ জিকোর ঘরের সোফায় বসে ও রিভলভার, মেশিনগান, ওয়ান শটার নিয়ে থিয়োরি শিখছিল। জিকোর চোখেমুখে গভীর প্রশান্তি। এত দিনে এক জন কাছের মানুষ পেয়েছে ও। কাজের মানুষও বটে।
বছর দশেক আগে, এ রকমই এক গরমকালে, রুম্পা ছেড়ে চলে গিয়েছিল জিকোকে। বন্দুক-পিস্তল নিয়ে ঘর করার অপরাধে। বলেছিল, একটা হৃদয়হীন লোক তার স্বামী হতে পারে না। যাওয়ার সময় সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল ওদের এক বছর আড়াই মাসের ছেলে সৃজনকে। জিকোর ভালবাসার মিস্টুবাবু। কী সুন্দর দেখতে হয়েছিল মিস্টুকে! গোলাপি গায়ের রং। নীল চোখের মণি। অনেকটা জিকোরই মতো। এক দিন পর রেললাইনের উপর পাওয়া গিয়েছিল দু’জনের ডেডবডি। বাচ্চাটাকে চেনা যাচ্ছিল না। রুম্পাকে দেখে চিনেছিল জিকো। বুলুদা দেঁতো হাসি হেসে বলেছিল, “তোর ছেলে-বৌকে মার্ডার করার জন্যে আবার কে সুপারি দিল রে জিকো?”
“জিকোদা, তুমি যে বলছিলে নিলুমাস্টারকে ফুল স্টপ দেওয়ার দায়িত্বটা আমায় দেবে?” বুম্বার গলার আওয়াজে সংবিৎ ফেরে জিকোর। গলাখাঁকারি দিয়ে জিকো বলল, “হ্যাঁ। কাজটা তুই-ই করবি।
আমি পাশ থেকে গাইড করব। ও শালা একটা গোখরো সাপ। যত তাড়াতাড়ি বিদেয় হয়, তত ভাল। শত্রুর শেষ রাখতে নেই, সাপের সঙ্গে সাপের বাচ্চাটাকেও...”
“ওকে বস! আপনি যেমন চাইবেন,” চোখটা টিপে ফিক করে হাসল বুম্বা। তার পর সামনে রাখা কাচের গ্লাসে বোতল থেকে
কিছুটা ভদকা ঢেলে গলায় চালান করে দিল ও।
নীলকান্ত মণ্ডল স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ। প্রতিদিন ভোর পাঁচটায় উঠে নোটনের দোকানে এসে চা খায়। তার পর দেশিকোত্তম পার্কে গিয়ে ঘণ্টাখানেক মর্নিংওয়াক করে বাড়ি ফেরে নিলুমাস্টার।
এ সব রেকর্ড জিকো মুখস্থ করে নিয়েছে এই ক’দিনে। তা ছাড়া আজকের ব্যাপারটা অন্য। আজই মাস্টারের জীবনে ফুলস্টপ পড়ে যাবে। রাতের মধ্যেই জিকোর কাছে ফুল পেমেন্ট পাঠিয়ে দেবে বুলুদা। কিছুটা বুম্বাও পাবে। ছেলেটা এঁটুলির মতো লেগে আছে জিকোর পিছনে। অবশ্য এ সব লাইনে সব কাজ একা করাও ঠিক নয়।
কথামতো বুম্বা দেশিকোত্তম পার্কের গেটের কাছে পৌঁছে গিয়েছে ভোরবেলাতেই। নোটনের দোকানে এখন বসে আছে জিকো। দোকানটা ঠিক নিলুমাস্টারের বাড়ির উল্টো দিকে। রাস্তাটা টপকালেই দোকানটা। বাড়ি থেকে মাস্টারকে বেরোতে দেখেই বুম্বার মোবাইলে একটা মিসড কল দিয়ে দিল জিকো। আর বেশি ক্ষণ নয়। খবর এসে যাবে কিছু ক্ষণের মধ্যেই। তিরিশটা গুলি ভরা কার্বাইন মেশিনগানটা দেওয়া আছে বুম্বাকে। বুম্বা কাজের প্রতি খুবই ডেডিকেটেড।
কিন্তু এ কী! আজ তো মাস্টার একা নেই! সঙ্গে বাচ্চাটাও রয়েছে। একটা লেদারের বেল্ট দিয়ে মাস্টারের বুকের সঙ্গে বাঁধা রয়েছে ছেলেটা। মাস্টার এসে নোটনকে চায়ের অর্ডার দিয়ে একটা বেঞ্চিতে বসল। জিকো দেখল, বাচ্চাটা এ দিক-ও দিক তাকাচ্ছে আর হাতদুটো দিয়ে নিলুমাস্টারের গালে, কপালে হাত বুলিয়ে যাচ্ছে। চা শেষ করে উঠে দাঁড়াল নিলুমাস্টার। পার্কের দিকের রাস্তাটা ধরল।
হঠাৎই, কোনও কারণ ছাড়াই, বাচ্চাটা জিকোর দিকে তাকিয়ে ফিক করে হাসল এক বার। তার পর হাত নেড়ে টা-টা করতে-করতে বাবার সঙ্গে পার্কের দিকে চলল।
বাইকে উঠে স্টার্ট দিতে যাবে, হঠাৎ বুকের কাছটা চিনচিন করে উঠল একটু। দশ বছর আগের একটা ঘটনা চোখের সামনে
ভেসে উঠল ওর। একটা ফর্সা ধবধবে বছর দেড়েকের ছেলে। নীলচে চোখ। ছুটে ছুটে মাতিয়ে তুলছে
গোটা বাড়ি। বাবার কাছে ছুটে এসে ছোট-ছোট হাত দু’টো দিয়ে গলা জড়িয়ে ধরে বলছে, ‘‘পাপা, পাপা, জানো, মা বলেছে…’’
নীলুমাস্টারের বাচ্চাটা জিকোর দিকে তাকিয়ে এক বার মিষ্টি করে হাসল না? স্বর্গীয় হাসি। আবার যাওয়ার সময় হাত নেড়ে টা-টা করল ওকে! মিস্টুবাবুও তো ঠিক এ রকমটাই ছিল! মিস্টুবাবু, কোথায় হারিয়ে গেলি সোনা আমার? মাথা দপদপ করে ওঠে। পলকের জন্য চোখ অন্ধকার হয়ে যায় জিকোর।
খুব কি দেরি করে ফেলেছে জিকো! বুম্বা কি কাজটা শেষ করে ফেলল এত ক্ষণে! পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে দুটো জীবন শেষ করে দিতে কত ক্ষণ আর লাগার কথা!
বুলুদার কাজের বরাত, তিন পাত্তির চিন্তা, সব মাথা থেকে ভেসে গেল হাওয়ায়। মোবাইলটা চটজলদি পকেট থেকে বের করে কাঁপা হাতে বুম্বার নম্বর ডায়াল করল জিকো, ‘‘হ্যালো, হ্যালো, বুম্বা, শোন না...”
ফোনের অপর প্রান্ত একেবারে নীরব। কয়েক সেকেন্ড পর একটা যান্ত্রিক মহিলাকণ্ঠ ভেসে এল, ‘‘দ্য নাম্বার ইউ হ্যাভ কলড ইজ় নট রিচেবল…’’