দাদার ক্রয়সূত্রে আমাদের আংশিক দ্বিতল জমিদারবাড়ি-সংলগ্ন বিস্তর জায়গাজুড়ে অন্য বাড়িটি ছিল পাট ব্যবসায়ী সনাতন সাহার। বিশালদেহী এই ভোজনরসিক ছিলেন অত্যন্ত ধনবান। সেই ছোট্ট সময়েই দেখতাম, ঘেটুদা সবচেয়ে বড় মাছটি নিয়ে তাঁর বাড়ির দিকেই ছুটতেন। পাঁচ ছেলেমেয়ে আর নাতি-নাতনিতে সুখের উঠান ছিল তাঁর। উঠানের পাশেই ছিল ইটে বাঁধানো একটি তুলসীগাছ।
ওদিকে বাহির ভিটায় একটি প্রাচীন আমগাছ। নিচে শশাখেত। আমি গর্বিত, নিশ্চিত চুরিবিদ্যাটা সম্ভবত আমার সেই শশাখেত থেকেই রপ্ত হয়েছিল! আর ঢিল? সেটাও বৈশাখের ওই টসটসে পাকা আমগুলোকে লক্ষ করেই!
বহু বছর পেরিয়ে গেছে। প্রকৃতিও তার রুপ পাল্টেছে। সনাতন সাহা স্বর্গে আছেন। বড় ছেলে কাঁটাতারের ওপারে। বাকিরা আছেন দেশেই, ভিটে ছাড়া!
এদিকে দাদার জরাজীর্ণ জমিদারবাড়ির ঐতিহ্য স্থলাভিষিক্ত হয়েছে চারতলায়! ছাদ থেকে যখনই ওই সনাতন ভিটায় ঘিঞ্জি বসবাসে তাকাই, ভেতরটা দুমড়ে-মুচড়ে অতীতমুখী হয়! আহা, কতকাল শুনি না সন্ধ্যার সেই ঘণ্টাধ্বনি,শঙ্খের শব্দ...নাকে আসে না ধূপের সেই মিষ্টিমধুর সুগন্ধ!
[নিয়ম: ১০০ শব্দের গল্প লিখুন প্রথম আলোর সাহিত্য অনলাইন ম্যাগাজিন অন্য আলো ডটকমের জন্য। নিজের ফেসবুকের টাইমলাইনে পাবলিক করে প্রকাশ করুন। #শশব্দগল্প #ছোট্টগল্প #অন্যআলো দিতে পারেন। এই তিনটা হ্যাশট্যাশগের যেকোনো একটা থাকলে আমরা ধরে নেব এটা আপনারা অন্য আলোডট কমে প্রকাশ করতে দিতে রাজি আছেন। আপনি গল্প লিখে ফেসবুকের সাত বন্ধুকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন। তাঁদের ট্যাগ করবেন। যাঁদের ট্যাগ করবেন, তাঁরা আবার শত শব্দের একটা গল্প নিজেদের টাইমলাইনে পোস্ট করবেন। আর নিয়মকানুনগুলো গল্পের নিচে কপি পেস্ট করে দেবেন। পেশাদার লেখক হতে হবে, এমন নয়। বরং নতুন প্রতিভা, নতুন লেখক লেখা শুরু করুক...। কেউ সরাসরিও লেখা পাঠাতে পারেন: [email protected] [email protected]]